অনলাইন ডেস্ক// পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দলীয় কোন্দল ও পূর্ব বিরোধের জেরে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে হাত-পা বেঁধে নিজ দলের আরেক পক্ষ দুই পা ও বাঁ হাত ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা নওমালা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আহত ওই ব্যক্তির নাম মো. কবির হোসেন কিবরিয়া (৪০)। তিনি উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী।মারধরের বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদার নিশ্চিত করেছেন।
আহত ব্যক্তি ও তাঁর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- রোববার ভোরে কিবরিয়া জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা সদরে আসেন। কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নওমালা গ্রামের লালু মোল্লা বাড়ির কাছে পৌঁছালে মৈশাদি গ্রামের আবদুল মজিদ মুন্সির ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. ছবির মুন্সির (৩০) নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল তাঁর পথরোধ করে প্রথমে মুখে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এরপর রশি দিয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও বাঁ হাত ভেঙে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজন অবস্থায় তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত কিবরিয়া অভিযোগ করেছেন-‘পূর্ব বিরোধ ও দলীয় কোন্দলের জেরে তাঁকে মেরে ফেলার উদ্দেশে ছবির মুন্সি এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
ঘটনার পর থেকে ছবির মুন্সি পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ছবির মুন্সির মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে- দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সরকারদলীয় চিফ হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম ফিরোজ। অপর পক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউপল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক। গত পাঁচ বছরে দুই পক্ষের মধ্যে অসংখ্য সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত ইউপি সদস্য কিবরিয়া মেয়রের সমর্থক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসাবিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন- ‘তাঁর ডান পায়ের হাটুর নিচে প্রধান হাড়সহ একাধিক অংশে, বাঁ পায়ের গোড়ালি ও বাঁ হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশের হাড় ভেঙে গেছে। মুখের আঘাতটিও গুরুতর। এ কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply